সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

বিটকয়েন কি? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?

বিটকয়েন কি? বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?

বিটকয়েন কী? এমন প্রশ্ন অনেকের কাছেই শোনা যায়। বর্তমান সময়ে, বিটকয়েন অনেক বেশি জনপ্রিয় ও প্রচলিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিটকয়েন তৈরি করা হয় ২০০৮ সালে। সাতোশি নাকামোতো নামক এক ব্যক্তিকে বিটকয়েনের স্রষ্টা বলা হয়। কিন্তু আশ্চর্য বিষয় এই যে, এখনো পর্যন্ত উনার পরিচয় রহস্যাবৃত! বিটকয়েন এর নাম শুনেনি, এমন মানুষ হয়তো খুঁজে পাওয়া যাবেনা। স্বভাবতই বিটকয়েন সম্পর্কে আমাদের জল্পনা-কল্পনার শেষ নেই
 

আর তাই, বিটকয়েন কাকে বলে, বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, কিভাবে বিটকয়েন কেনা বেচা করা হয় এবং বিটকয়েন একাউন্টে কিভাবে লেনদেন করবেন এ বিষয়গুলি নিয়ে আজ আমি আলোচনা করবো। আলোচনার বিষয়সমূহ-

বিটকয়েন কি?
বিটকয়েন এর ইতিহাস?
বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে?
বিটকয়েন এর দাম কত?
বিটকয়েন এর সুবিধা ও অসুবিধা?
বিটকয়েন ও প্রচলিত অর্থের পার্থক্য?
বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ?
 

বিটকয়েন কি?

বিটকয়েনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, এই মুদ্রা কাগজে ছাপা হয় না কিংবা সোনা, রূপা অথবা তামা দিয়েও এই কয়েন বানানো হয় না। প্রকৃতপক্ষে বিটকয়েন হচ্ছে একটি ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি যা দিয়ে শুধু অনলাইনেই কেনা-বেচা করা যায়। মোটকথা, বিটকয়েন একটি ক্রিপটোকারেন্সি, যা সাতোশি নাকামোতো নামের একজন অজ্ঞাত ব্যক্তি ২০০৮ সালে তৈরি করেন এবং ২০০৯ সালে এর প্রচলন শুরু হয়।

সহজ ভাষায় বলতে গেলে, বিটকয়েন হচ্ছে ডিজিটাল মুদ্রা যা দিয়ে ইন্টারনেটের মাধ্যমে পিয়ার-টু-পিয়ার (peer-to-peer) ট্রানজেকশন করা যায়। পেপাল বা পেওনিয়ার এর মতো সার্ভিসগুলো প্রথাগত উপায় অনুসরণ করে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড/পেমেন্ট নেটওয়ার্কের সাহায্যে অর্থ লেনদেন করে। অন্যদিকে বিটকয়েন হলো ডিসেন্ট্রালাইজড অর্থ, যা পৃথিবীর যেকোনো প্রান্ত থেকে যেকেউ কোনো বাধাধরা নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই আদান-প্রদান করতে পারে। বিটকয়েন এর মাধ্যমে হওয়া প্রতিটি লেনদেন ব্লকচেইনে লিখিত থাকে, যা অনেকটা ব্যাংকের খতিয়ানের মত কাজ করে। মূলত এটি বিটকয়েন দ্বারা ঘটিত সকল লেনদেনের একটি রেকর্ডস্বরুপ।
 
বিটকয়েন ব্লকচেইন এর তথ্য সমস্ত নেটওয়ার্ক জুড়ে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে থাকে। কোনো প্রতিষ্ঠান, দেশ বা থার্ড পার্টি এটি নিয়ন্ত্রণ করেনা, এবং যেকেউ এর অংশ হতে পারে। বিটকয়েন এর সাপ্লাই কিন্তু নির্দিষ্ট। সব মিলিয়ে মাত্র ২১মিলিয়ন বিটকয়েন রয়েছে। এই অংকের চেয়ে বেশি মাত্রার বিটকয়েন তৈরি বা উৎপাদন সম্ভব নয়। সকল বিটকয়েন ব্যবহারকারী এই অর্থ ভাগাভাগি করেন। যদিও এখনো বিটকয়নের এই পুরো পরিমাণ সংগ্রহ করা হয়নি।

বিটকয়েন এর ইতিহাসঃ-

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে, তা জানার আগে আমাদের বিটকয়েনের ইতিহাস সম্পর্কে জানা প্রয়োজন। সাইবারপাঙ্ক নামের একটি জনগোষ্ঠীর উদ্ভব হলো ১৯৮০’র দশকে। সরকার ও প্রশাসনবিরোধী একটা মনোভাব নিয়েই এটি তৈরি হয়। এদের মধ্যে একটি ধারণা তৈরি হয় যে, সরকারের বা প্রশাসনের হাতে অর্থনীতির নিয়ন্ত্রণ থাকলে তা ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে। কেননা সরকার প্রায়শই সবকিছুতে নজরদারী করে থাকে। ফলে এই গোষ্ঠীটি অর্থ লেনদেনে ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য পরামর্শ দেয়। সেই পদ্ধতির উপর ভিত্তি করেই বর্তমানের এই বিটকয়েন।
 
২০০৭-০৮ অর্থবছরে পুরো বিশ্বেই অর্থনৈতিক মন্দা দেখা দেয়। ওই সময়ই একটি থিসিস পেপার এর আবির্ভাব হয় যার শিরোনাম ছিলো- বিটকয়েন: আ পিয়ার-টু-পিয়ার ক্যাশ সিস্টেম। এই পেপার এর লেখক ছিলেন সাতোসি নাকামোতো ছন্দনামের এক ব্যক্তি। নাকামোতো তার এই ৯ পৃষ্ঠার পেপারে বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন। কিভাবে কোন প্রকার অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠানের সাহায্য ছাড়া সরাসরি এই ডিজিটাল মূদ্রা একে অপরের কাছে আদান প্রদান করতে সক্ষম। ইন্টারনেটের মাধ্যমে অর্থ আদান প্রদানের নতুন একটি জগতের সৃষ্টি করে এটি। অর্থ আদান-প্রদানে ব্যাংক এর মত থার্ড পার্টির প্রয়োজন ঘুচিয়ে দেয় বিটকয়েন এর প্রযুক্তি। নাকামোতো সাইবারপাঙ্কের সেই ব্লকচেইন প্রযুক্তি ব্যবহার করে।
 

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করেঃ-

বিটকয়েন কিভাবে কাজ করে? বিটকয়েনের মত ক্রিপ্টোকারেন্সির বিনিময় হয় কম্পিউটারের পিয়ার টু পিয়ার নেটওয়ার্কের মাধ্যমে। এই নেটওয়ার্কের মুখ্য উদ্দেশ্যই হচ্ছে ডাটা শেয়ার করা। এই ডাটা হরেক রকমের হতে পারে। যেমন: চলচিত্র, গান, ডকুমেন্ট প্রভৃতি। বিটকয়েন কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত নয়। বিশ্বের প্রথম মুক্ত পেমেন্ট নেটওয়ার্ক হলো বিটকয়েন, যেখানে যেকেউ অংশগ্রহণ করতে পারে। বিটকয়েন তৈরির পেছনে প্রধান উদ্দ্যেশই ছিলো ইন্টারনেট ব্যবহার করে একটি ডিসেন্ট্রালাইজড পেমেন্ট ব্যবস্থা তৈরি করা।

বিটকয়েন এর অন্যতম প্রধান উপাদান হলো ব্লকচেইন যা এর আদানপ্রদানের হিসাব রাখে। তবে বিটকয়েন ডিসেন্ট্রালাইজড হওয়ায় যেকেউ লেনদেনের তথ্য দেখতে পারে ও কেউ এটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা। প্রথমদিকে সাধারণ যেকোনো কম্পিউটার ব্যবহার করেই বিটকয়েন মাইনিং করা যেতো। তবে বর্তমানে বিটকয়েন মাইন করতে অনেক শক্তিশালী কম্পিউটারের প্রয়োজন হয়। ২০১৯ সালের তথ্য অনুসারে ২০০৯ সালের বিটকয়েন এর চেয়ে বর্তমানে বিটকয়েন মাইনিং করতে ১২ ট্রিলিয়ন গুণ কম্পিউটিং পাওয়ার প্রয়োজন। ডিজিটাল ডাটা নকল করা সম্ভব নয়, তাই বিটকয়েন ডিজিটাল মুদ্রা হওয়ায় যে কেউ চাইলেই নকল বিটকয়েন তৈরি করে জালিয়াতি করতে পারে না। তার মূল কারণ হচ্ছে কোন ভিডিও বা অডিও ফাইলের মত বিটকয়েন চাইলেই নকল করা যায় না।
 
বিটকয়েন তৈরিতে মূলত কম্পিউটিং পাওয়ার ব্যবহার করে মাইনিং এর মাধ্যমে বিটকয়েন মাইন করা যায়। বিটকয়েন মাইনিংকে অনেকটা লটারি বা রেসের সাথে তুলনা করা যায়। এখানে বিভিন্ন গাণিতিক সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে যেকেউ উক্ত রেস বা লটারির পুরস্কার পেতে পারে। আর এখানে পুরস্কার হলো বিটকয়েন। প্রতি লেনদেনে মাইনিং এর এই পুরস্কার পরিবর্তন হতে থাকে। তবে বর্তমানে বিটকয়েন মাইনিং আর আগের মত লাভজনক নেই। বিটকয়েন এর ক্ষুদ্রতর অংশকে সাতোশি বলা হয়। ১০০ মিলিয়ন সাতোশি মিলে তৈরি হয় এক বিটকয়েন। সাতোশি নাকামোতো এমনভাবে বিটকয়েন এর নেটওয়ার্ক স্থাপন করেন, যাতে ২১ মিলিয়নের অধিক বিটকয়েন মাইন করা সম্ভব না হয়। বর্তমানে মাইন করার মত প্রায় ৩ মিলিয়ন বিটকয়েন অবশিষ্ট রয়েছে। এবং ধারণা করা হচ্ছে, ২১৪০ সালের মধ্যে সকল বিটকয়েন মাইন করা হয়ে যাবে। বিটকয়েন লেনদেনে সহায়তা করার জন্য যেসব মাইনিং কম্পিউটার ব্যবহার করা হয়। এবং যারা এই কম্পিউটারগুলোর মালিক তাদেরকে বিটকয়েন মাইনার বলা হয়।

বিটকয়েনে এর দামঃ-

বিটকয়েন এর দাম কখনো নির্দিষ্ট থাকে না। অর্থাৎ বিটকয়েন এর মূল্য সবসময় ওঠানামা করতে থাকে। যেকোনো ক্রিপটোকারেন্সির দাম একইভাবে ওঠানামা করে। যার ফলে এক বিটকয়েনে সমান কত টাকা? বা কত টাকায় এক বিটকয়েন হয়? এমন প্রশ্নের উত্তর দেওয়া বেশ কঠিন। সেজন্য বিটকয়েন এর বর্তমান দাম জানার জন্য গুগলে সার্চ করে খুব সহজে এর বর্তমান মূল্য জেনে নিতে পারবেন।

বিটকয়েন এর সুবিধাঃ-

বিটকয়েন এখন পর্যন্ত সবচেয়ে উন্মুক্ত আর্থিক ব্যবস্থা পদ্ধতি। বিটকয়েন অনেকটা প্রচলিত ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড এর মত ব্যবহার করা যায়। তবে ক্রেডিট কার্ড ইনফো প্রদানের বদলে বিটকয়েনের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পাবলিক কি ও পেমেন্ট এমাউন্ট প্রদান করতে হয়। চলুন জেনে নেওয়া যাক বিটকয়েন এর কিছু সুবিধাসমূহ- 
✔ বিটকয়েন একটি জনপ্রিয় উন্মুক্ত আর্থিক ব্যবস্থা, যার ফলে বিশ্বের যেকোনো দেশে যেকোনো সময় লেনদেন করা যায়। 
✔ বিটকয়েনের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর দ্রুত ও সহজ হয়ে থাকে।
✔ কোনো বাড়তি ফি ছাড়াই বিটকয়েন এর মাধ্যমে অর্থ স্থানান্তর করা যায়।
✔ এটি বিশেষত দুর্বল ব্যাঙ্কযুক্ত অঞ্চল এবং তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলিতে উপকারী।
✔ বিটকয়েন ডিসেন্ট্রালাইজড হওয়ায় আদান-প্রদানের প্রক্রিয়া তৎক্ষনাৎ ঘটে।
✔ অর্থের একচেটিয়া দখলমুক্ত এবং ২৪ ঘন্টাই লেনদেন করতে পারবেন। 
✔ প্রচলিত ক্রেডিট কার্ড এর মত বিটকয়েনের ক্ষেত্রে ট্রানজেকশন ডাটা রেকর্ড হতে সময় লাগেনা।
✔ অন্যান্য ক্রিপ্টোকারেন্সির তুলনায়, বিটকয়েনের সর্বোচ্চ স্বীকৃতি, জনপ্রিয়, লিউকুইড, ও সর্বোচ্চ গ্রহণযোগ্যতা আছে।
✔ বিটকয়েন প্রযুক্তি অত্যন্ত নিরাপদ যা হ্যাক করা প্রায় অসম্ভব বলা চলে। 
✔ বিটকয়েন কোন সরকার, নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান, প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের উপর নির্ভর করে না।

বিটকয়েন এর অসুবিধাঃ-

বিটকয়েন এর সুবিধার পাশাপাশি বেশ কিছু অসুবিধাও রয়েছে যা নিম্নে আলোচনা করা হলো- 
✔ বিটকয়েন লেনদেন অপরিবর্তনীয়। অর্থাৎ একবার আপনার মানিব্যাগ থেকে টাকা বের হয়ে গেলে, এটি ফেরত পাওয়ার কোন উপায় নেই।
✔ বাংলাদেশের মত কম রিসোর্সের দেশে বিটকয়েন মাইনিং করা খুবই কষ্টকর।
✔ বিটকয়েন যেহেতু ছদ্মনামে এবং কেন্দ্রীয় কোনো কর্তৃপক্ষের অগোচরেই লেনদেন করা সম্ভব তাই এটি ব্যবহার করে 
✔ কোনো বেআইনি লেনদেন হলে সেটা নির্ণয় করা অনেক ক্ষেত্রে সম্ভব হয়না। কিন্তু সাধারণ ব্যাংকিং চ্যানেলে লেনদেন হলে সহজেই দাতা ও গ্রহীতাকে সনাক্ত করা যায়। এজন্য বিটকয়েনের ঝুঁকি রয়েছে।
✔ এখানে, সমস্ত দোকান বা পরিষেবা প্রদানকারী বিটকয়েন গ্রহণ করে না। তবে সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে।
✔ বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত বিটকয়েন বা অন্য কোনো ক্রিপ্টোকারেন্সি স্বীকৃতি পায়নি। তাই বাংলাদেশে সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার আগে বাংলাদেশ থেকে এ ধরণের ভার্চুয়াল মুদ্রায় লেনদেন না করাই ভাল।
 

বিটকয়েন ও প্রচলিত অর্থের পার্থক্যঃ-

উপরের আলোচনা হতে দেখা যায় যে, বিটকয়েন ও প্রচলিত অর্থের মধ্যে অনেক পার্থক্য রয়েছে। কারণ প্রচলিত অর্থ কোনো দেশের সরকার কতৃক ইস্যু করা হয়। অন্যদিকে, বিটকয়েন হলো কম্পিউটারে মাইনিং এর মাধ্যমে তৈরি একটি অনলাইন অর্থের নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা। 
✔ বিটকয়েনের অনন্য বৈশিষ্ট্য হচ্ছে যে, এই মুদ্রা কাগজে ছাপা হয় না, সোনা, রূপা অথবা তামা দিয়েও এই কয়েন বানানো হয় না। 
✔ প্রচলিত অর্থের মূল্য বা দাম ঠিক করে উক্ত অর্থ পরিচালনাকারী সরকার। অন্যদিকে বিটকয়েন এর দাম, এর সাপ্লাই ও ডিমান্ড এর উপর নির্ভরশীল। 
✔ সাধারণ অর্থের ক্ষেত্রে ফিজিক্যাল মুদ্রা বা টাকা থাকলেও বিটকয়েন এর ক্ষেত্রে কোনো ফিজিক্যাল কয়েন নেই। 
✔ প্রচলিত অর্থব্যবস্থায় শুধুমাত্র সরকার ও ব্যাংক সংযুক্ত থাকে। অন্যকেউ এই অর্থ সম্পর্কে জানতে পারেনা। অন্যদিকে বিটকয়েনের দ্বারা সকল ট্রানজেকশন সম্পূর্ণ মুক্তভাবে ইন্টারনেটে বিচরণ করে, যা যেকেউ দেখতে পারে। 
✔ প্রকৃতপক্ষে বিটকয়েন একটি ডিজিটাল মুদ্রা বা ক্রিপ্টোকারেন্সি যা দিয়ে শুধু অনলাইনেই বেচাকেনা করা যায়। কিন্তু প্রচলিত মুদ্রা দিয়ে অফলাইন ট্রানজেকশন করা যায়। 
✔ কতগুলো বিটকয়েন বানানো হবে, বাজারে বিদ্যমান বিটকয়েন কোথায় রয়েছে তা দেখার উপায় নেই।কিন্তু প্রচলিত অর্থ সরকার চাইলেই নজরে রাখতে পারে। 
✔ কোন রাষ্ট্র বিটকয়েনের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ নয়, ফলে বিটকয়েনকে নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কোন সর্বস্বীকৃত সংস্থাও নেই। কিন্তু প্রচলিত অর্থের নিয়ন্ত্রণ রাষ্ট্রের হাতে থাকে।

বিটকয়েন কি বাংলাদেশে বৈধ? 

বাংলাদেশে বিটকয়েন এখনও বৈধ বা স্বীকৃত না। তবে শীঘ্রই সেটা হবে বলে আশা করাই যায়। আমাদের পার্শ্ববর্তী অনেক দেশেই বিটকয়েনসহ বিভিন্ন ক্রিপ্টোকারেন্সি বৈধতা পেয়েছে। তাই আশা করাই যায়, বাংলাদেশও বিটকয়েন স্বীকৃতি পাবে। এছাড়াও প্রশাসন থেকে কিছুটা ইতিবাচক কথাও শোনা যাচ্ছে এ নিয়ে। বিটকয়েন প্ল্যাটফর্ম আমাদের দেশে বৈধ হলে তা এ দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গতি আনবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
 

শেষ কথা-
পরিশেষে বলা যায় যে, বাংলাদেশে বিটকয়েন এখনও বৈধ না হলেও এটি নিঃসন্দেহে বলা যায়, বিটকয়েন অর্থনীতি এবং প্রযুক্তির ক্ষেত্রে এক নতুন দিগন্ত উন্মোচিত করে দিয়েছে। এবং অদুর ভবিষ্যতে আমরাও এ সুবিধার অন্তরভুক্ত হতে পারবো বলে আশা রাখি।

বিটকয়েন সম্পর্কিত আরো সাধারণ প্রশ্নোত্তর নিয়ে হাজির হব অন্য কোন দিন। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকবেন- এবং আমাদের সাইটটি নিয়মিত ভিজিট করবেন।

ধন্যবাদ। 
 

Post a Comment

0 Comments