সর্বশেষ

6/recent/ticker-posts

Header Ads Widget

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা ১০ উপায়

ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা ১০ উপায় 

অনলাইন আয়ের অন্যতম ও জনপ্রিয় মাধ্যম হচ্ছে ইউটিউব। ঘরে বসেই মাসে ইনকাম করতে পারবেন লাখ লাখ টাকা। জনপ্রিয় এই ভিডিও প্ল্যাটফর্ম থেকে ব্লগাররা মাসে কয়েক লাখ মার্কিন ডলার পর্যন্ত আয় করে থাকেন। বেকারত্ব থেকে মুক্তি পেয়েছে দেশের অনেক ছেলেমেয়ে। চাইলে আপনিও শুরু করতে পারেন ইউটিউব থেকে ইনকাম। বিশ্বব্যাপী কোটি কোটি মানুষ নিয়মিত ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। ইউটিউব যে শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয় সে কথা এখন অনেকেরই জানা।
 

জেনে নিই ইউটিউব থেকে আয় করার সেরা কিছু উপায়গুলো-

১। নির্দিষ্ট বিষয়ে ভিডিও তৈরিঃ-
ইউটিউব ভিডিও তৈরির আগে উপযুক্ত বিষয় পছন্দ করুন। অর্থাৎ আপনার ভিডিও কোন দর্শকদের কাছে নিয়ে যেতে চান তা আগে ঠিক করুন। এরপরে সেই দর্শকদের জন্য ভিডিও তৈরি করে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে হবে। শুধুমাত্র সেই বিষয়ের উপরেই ভিডিও তৈরি করুন। এর ফলে দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। এবং সেই নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন।
 
২। প্রফেশনাল ভিডিওঃ- 
আপনার দর্শকদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন করতে প্রফেশনাল মানের ভিডিওর গুরুত্ব অপরেসীম। একটি ভালো মানের ক্যামেরা, পর্যাপ্ত আলো, মাইক্রোফোন আপনার ভিডিয়োকে আরও প্রফেশনাল লুক দিতে পারে। নিয়মিত ভিডিও পোস্ট করতে হবে। নিজের ভিডিও থেকে সোশ্যাল মিডিয়া ও নিজের ব্লগিং ওয়েবসাইটে ট্র্যাফিক নিতে হবে। প্রত্যেক ভিডিওর সঙ্গে দিতে হবে রিলেটেড কি-ওয়ার্ড।
 
৩। প্রয়োজনীয় সাবস্ক্রাইবারঃ-
ইউটিউব থেকে টাকা আয়ের জন্য আপনার চ্যানেলে অন্তত এক হাজার সাবস্ত্রাইবার বা ফলোয়ার থাকতে হবে। সাবস্ক্রাইবার প্রতি আপনি কোনো টাকা পাবেন না। তবে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে রোজগারের সম্ভাবনা ততই বেশি হবে। যেমন ধরুন আপনি যদি বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে হাত মিলিয়ে প্রমোশনাল কাজ করতে চান তবে আপনার চ্যানেলে যত বেশি সাবস্ক্রাইবার থাকবে তত বেশি রোজগার করতে পারবেন।
 
৪। ইউটিউব ভিউসঃ-
আপনার চ্যানেলে যত বেশি ভিউ থাকবে, আপনার রোজগারের সম্ভাবনা ততই বাড়তে থাকবে। তবে আয় শুরু করার জন্য বিগত ১২ মাসে প্রয়োজন হবে চার হাজার ঘণ্টা ভিউস। তবে আপনার ভিডিওর উপরে দেখানো লিঙ্কে ক্লিক করে কেউ যদি সম্পূর্ণ বিজ্ঞাপন দেখে তবে আপনার ইউটিউব থেকে রোজগার বৃদ্ধি পাবে।
 
৫। ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মঃ- 
শুধুমাত্র ইউটিউবে দেখানো বিজ্ঞাপন থেকে রোজগার করে জীবন চালানো প্রথমে কঠিন হতে পারে। আর এই কারণে সঙ্গে অন্য কাজ রাখা প্রয়োজন। নিজের চ্যানেলের ভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখানোর জন্য YouTube Partner Program এ যোগ দিতে পারেন। প্রত্যেক ভিডিও থেকে রোজগারে একটি অংশ কনটেন্ট ক্রিয়েটরের সঙ্গে ভাগ করে নেয় এই ভিডিও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্ম। ইউটিউবে আয়ের সবচেয়ে সেরা ও সহজ উপায় হলো ইউটিউব পার্টনার প্রোগ্রাম।
 

৬। ইউটিউব প্রিমিয়ামঃ- 
ইউটিউব থেকে ইনকামের দ্বিতীয় পদ্ধতি হিসাবে কাজ করবে এই YouTube Premium. একবার প্ল্যাটফর্ম থেকে রোজগার শুরু করলে আপনি ইউটিউব প্রিমিয়াম প্যাকেজে সাইন আপ করতে পারবেন। এই ফিচারে আপনার সাবস্ক্রাইবাররা চাইলে অতিরিক্ত খরচ করে বিজ্ঞাপন ছাড়াই আপনার চ্যানেলের ভিডিও দেখতে পারে। বর্তমানে সাবস্ক্রাইবারদের থেকে রোজগারের দ্বিতীয় পথ হিসাবে এটি জনপ্রীয় হয়ে উঠেছে।
 
৭। ইউটিউব মার্চেনইডাইসঃ- 
আপনি ইউটিউব মার্চেনডাইস এর মাধ্যমেও আপনার ইনকাম বাড়িয়ে নিতে পারেন। কারন বিজ্ঞাপন ছাড়াও আয়ের আরও কিছু উপায় রয়েছে। যেমন ধরুন- মার্চেনইডাইস। এখানে টি-শার্ট, কফি মগ, ব্যাগ সহ নিজস্ব মার্চেনডাইস বিক্রি করে ইউটিউব থেকে রোজগার করতে পারবেন। আপনি প্রত্যেক ভিডিওর নিচে রাখতে পারবেন মার্চেনডাইস সেলফ।
 
৮। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:-
বর্তমানে ইউটিউব থেকে ইনকামের একটি বড় উপায় হচ্ছে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনার ইনকাম আরও বাড়তে পারেন। এক্ষেত্রে আপনাকে বিভিন্ন পণ্য বা ব্র্যান্ডের ভিডিও তৈরি করতে হবে। এর ফলে নির্দিষ্ট দর্শকদের সঙ্গে আপনার যোগাযোগ স্থাপনে সুবিধা হবে। এবং দর্শকরা আপনার অ্যাফিলিয়েট লিঙ্কে ক্লিক করে কোন প্রডাক্ট ক্রয় করলে আপনি অ্যাফিলিয়েট কমিশন পেয়ে যাবেন। এভাবে নির্দিষ্ট বিষয়ে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে কাজ করুন এবং আপনার ইনকাম বৃদ্ধি করুন।
 
৯। মেম্বারশিপ আপগ্রেডঃ-
আপনার ইউটিউব চ্যানেল মেম্বারশিপ করতে পারেন। চ্যানেলের মেম্বার হলে দর্শকরা অতিরিক্ত কনটেন্ট পেয়ে যাবেন। এভাবেই বাড়বে আপনার ফলোয়ার ও ভিউস এবং সেই সাথে বৃদ্ধি পাবে আপনার ইনকামও। এ ছাড়াও চ্যাট পেমেন্টের মাধ্যমেও ইউটিউব থেকে ভালো আয় করা যায়। যেমন- লাইভ স্ট্রিম। এর সুপার চ্যাটের মাধ্যমে দর্শকদের কাছ থেকে আয় করতে পারবেন।
 
১০। ভিডিও লাইসেন্সিং:-
আপনি ইউটিউব ভিডিও লাইসেন্সিং করেও ইনকাম করতে পারেন। মনে করুন আপনার কোনো ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে গেলে বিভিন্ন মিডিয়া সেই ভিডিও স্ট্রিম করার জন্য আপনাকে অতিরিক্ত টাকা দেবে। যা থেকে আপনার অতিরিক্ত হবে। আর এটাই হচ্ছে ভিডিও লাইসেন্সিং এর সুবিধা।
 
 
ইউটিউব থেকে আয় করতে শুরুতে আপনাকে কড়া প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। প্রথমেই আপনার ভিডিও চ্যানেলে বা প্ল্যাটফর্মে স্থায়ী দর্শক তৈরি করতে হবে। তবেই কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবেন। প্রথমেই আপনাকে কিছু বিষয়ে নজর দিতে হবে। শুধু ভিডিও আপলোড করলেন, আর আয় করে ফেললেন বিষয়টা মোটেই এমন নয়। এজন্য আপনাকে নানান বিষয় বুঝে শুনে রুলস এবং ফর্মালিটিস মেনে কাজ করতে হবে। এভাবেই আপনি কাঙ্খিত লক্ষে পৌঁছাতে পারবেন।
 

Post a Comment

0 Comments